December 23, 2024, 6:38 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়া শহরের শাপলা গার্মেন্টসের মালিকের করোনা আক্রান্ত হওয়াটা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই আলোচনা জন্ম দেয়ার পেছনে কারনও আছে। জানা গেছে এই ব্যক্তিটি ছিল এই শহরের সেইসব ব্যক্তিদের অন্যতম যারা চলমান করোনা ভয়াবহতাকে একেবারে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আসছিল। কোন নিয়ম কানুন মানা তো দুরে থাক নিয়ম কানুন, লকডাউন, করোনা সবকিছূ নিয়েই সে প্রকাশ্যে কটাক্ষ করে আসছিল সেই শুরু থেকেই এবং সে কোন কিছূকে তোয়াক্কা না করে দোকান খোলা রেখে তার ব্যবসা করে আসছিল।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের ফেসবুক ওয়াল থেকে জানা যায় নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের একাধিক টিম বিষয়টি অবগত ছিল। তাকে বেশ কয়েকবার সর্তকও করা হয়। কিন্তু তার একরোখা জেদি তেজের কারনে সে কোন কথা শোনেনি। শেষে ভ্রাম্যমান আদালতে তাকে জরিমানাও করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও দোকান খোলা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করা থেকে তাকে নিবৃত্ত করা যায়নি। অবশেষে সে আক্রান্ত হয়েছে। যার জন্য তাকে এত কিছু করা হলো সেই কারেনায় তাকে ধরাশায়ী করে ফেলল।
গতকাল ঐ গার্মেন্টস মালিকের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়। দোকান বন্ধ রেখে দিলে তাদের না খেয়ে মরতে হতো তা নয়। কিন্তু পরিবারের কারো কথা সে শোনেনি।
জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে আক্ষেপ করে বলা হয়েছে : : আজ তার পাশে কেউ নেই। পাশে আছে তারাই যারা তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলো। আজ ০২/০৬/২০২০ খ্রিঃ তারিখ রাতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাত নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে তার পরিবারের লোকজনের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাত করেন এবং বাড়িটি লক-ডাউন করে দেন। একই সাথে পরিবারের সদস্যদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনে যে কোনো ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
পোস্টে জেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিটির সুস্থতা কামনা করেন।
এ থেকে কি শিক্ষা পাওয়া গেল ?
Leave a Reply